পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জেরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপের অনেক দেশ। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়া জানিয়েছে তারা নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।

আর এতেই জার্মানিসহ অনেক দেশেই ৩০ শতাংশ করে বেড়েছে গ্যাসের দাম। এই সংকট নিরসনে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও দেশটির পরমাণু শক্তিকেন্দ্রগুলোর দিকে ঝুঁকছে জার্মান প্রশাসন।

মস্কোর এমন সিদ্ধান্তের পর আসছে শীতে ভয়াবহ জ্বালানি সংকটের আশঙ্কায় তেল ও গ্যাসের বদলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশটির আভ্যন্তরীণ কয়লা উত্তোলন প্রকল্প ও পরমাণু শক্তিকেন্দ্রগুলো আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চালু রাখার বিষয়ে মত দিয়েছেন জার্মান অর্থনীতি ও জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় জার্মানি একা নয় বরং গোটা ইউরোপই অভিন্ন নীতিতে এগোচ্ছে। এ ছাড়া চলতি বছরের শেষে নেদারল্যান্ডস সীমান্তে অবস্থিত একটি পরমাণু শক্তিকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনার কথা থাকলেও অন্যান্য পরমাণু শক্তিকেন্দ্রগুলো জরুরি প্রয়োজনে চালু রাখা হবে বলেও জানান জার্মান জ্বালানিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, জার্মানির ছয়টি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ হয় ৬ শতাংশ। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত গ্যাস এবং কয়লাভিত্তিক প্রকল্প থেকে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হয় যথাক্রমে ১৩ ও ২৮ শতাংশ।